বর্তমান ফুটবল মার্কেটে কয়েকজন হটকেকের মধ্যে জেদান সাঞ্চো অন্যতম। বিশেষ করে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড উঠেপড়ে লেগেছে ভঙ্গুর দলটাকে শক্তিশালী করার জন্য। বুরশিয়া ডর্টমুন্ডের এই উইঙ্গার মাত্র ২০ বছর না পেরোতেই তার সব স্বপ্ন পূরন করে ফেলেছে। আর পূরন হবেই না বা কেনো, সাঞ্চো যে তাঁর নিজের শৈশবকেই আত্মত্যাগ করেন শুধু ফুটবুলের জন্য
১৪ বছর বয়সে যখন সাঞ্চো ইয়ুথ টীম ওয়ার্টফোর্ড ছিলেন তখন একদিন ক্লাস রুমে তাঁর কোচ ল্যানকাস্টার সবার সাথে তাদের লক্ষ্য নিয়ে আলোচনা করছিলো। তখনই সাঞ্চো জানিয়েছিলো সে একদিন জাতীয় দলের পাশাপাশি ইউরোপের বড় টিমে খেলবে। সাঞ্চোর যা লক্ষ্য ছিলো তা পূরণ করতে ২০ বছর পেরোতে দেন নি। ইতিমধ্যে বুরশিয়া ডর্টমুন্ডের পাশাপাশি জাতীয় দলে অভিষেক হয়েছেন।
কেনিংটনে জন্মনেওয়া সাঞ্চো ছোট থেকেই তার সহপাঠীদের সাথে ফুটবল অনুশীলন করেন। তাদের মধ্যে নেলসন ও ইয়ান কার্লো ছিলো অন্যতম যারা পরবর্তীতে ম্যানসিটিত থাকাকালীন সময়ে একই সাথে খেলেছেন।
সাতবছর বয়সে যখন ওয়ার্টফোর্ডের ইয়ুথ টীমে সুযোগ পেলেন তখন তাকে কেনিংটন থেকে লন্ডনে যাতায়াত করতে হত ট্রেনে। যখন এগারো বছরে পা দিলো সাঞ্চো তখন বাবা মা কে ছেড়ে তাঁর এক আত্মীয়র সাথে নর্টহেল্টে আসেন। সেখান থেকেও তাঁকে ১৪ মেইল টেক্সি করে স্কুলে যেতে হত। তার কিছুদিন পর স্কুলে বোর্ডিং সেবা চালু হওয়ার পর সেখানে থাকতে লাগলো। আমরা কয়জনই বা এই রকম ভাবে বাবা মাকে ছেড়ে শুধু ফুটবলের জন্য ছুটেছি?
আজকের খেলা কখন, কোন চ্যানেলে দেখতে ক্লিক করুন
স্কুলে তার ক্লাসের সময় ছিলো সকালে কিন্তু সকালে অনুশীলনও ছিলো। যার জন্য যখন সবাই স্কুলে থেকে বাসায় ফিরতো তখন তাকে অনুশীলন থেকে এসে পড়াশোনা করতে হতো যেনো সন্ধ্যায় আবার যেনো অনুশীলনে যেতে পারে। এভাবেই চলতো তার রুটিন। ওয়ার্টফোর্ডের ইয়ুথ টীমের কোচ ল্যানকাস্টার বর্তমান চাইনিজ তাইপে কোচ বলছিলেন যে তার সকল কিছু ফুটবল কেন্দ্রিক ছিলো। প্র্যাক্টিস থেকে শুরু করে সকল জায়গাতে ইউনিক হওয়ার চেস্টা ছিলো। ১৪ বছর বয়সেই তাকে আমি অনুর্ধ ১৫ দলে তাকে জায়গা দিয়েছিলাম। কিন্তু আমার মনে হয়েছিলো তাদের মধ্যে কিছু ক্ষেত্রে সাঞ্চোই বেস্ট ছিলো।
তার দারুন প্রতিভার জোর নজর কেড়েছিলো ম্যানচেস্টার সিটির। ২০১৫ সালে সাঞ্চো যোগ দিলেন ম্যানসিটিতে। অল্প সময়ের মাঝে ডাক পেলেন অনুর্ধ ১৮ দলে। তারপর পেপ গার্দিওয়ালা সিটির মূল দলে খেলার আমন্ত্রণ পেলেও ১০ মিলিয়ন ইউরোতে ডর্টমুন্ডকেই বেছে নেয় সাঞ্চো। তারপর আর পেছনে ফিরে তাকাতে হয় নাই। চ্যাম্পিয়ন্সলীগে বার্সার বিরুদ্ধে গোলটায় যেনো তার প্রতিচ্ছবি!