ইউরোপা লিগের ফাইনালে ইন্টার মিলানকে ৩-২ গোলে হারিয়ে রেকর্ড ষষ্ঠবারের মত শিরোপা ঘরে তুললো সেভিয়া। রুদ্ধশ্বাস ফাইনালে মুখোমুখি হয় আসরের সবচেয়ে সফল দল স্প্যানিশ জায়ান্ট সেভিয়া এবং কান্তের হাতে বদলে যাওয়া ইন্টার মিলান।
শুরু থেকেই আগুনে খেলা শুরু করে দুই দল। ৫ মিনিটেই বেলজিয়ান ফরোয়ার্ড লুকাকুর পেনাল্টি গোলে এগিয়ে যায় ইন্টার। এটি ইউরোপা লিগে তার করা টানা ১১ ম্যাচে গোল। তবে এই গোল শোধ দিতে বেশি সময় নেয়নি সেভিয়া। মাত্র ৭ মিনিট পরেই নাভাসের ক্রস থেকে দারুন হেডে সমতায় ফেরান লুক ডি ইয়ং। ৩৩ মিনিটের সময় সেটপিস থেকে ডিবক্সের মধ্যে বানেগারে উড়িয়ে দেওয়া ক্রসে মাথা ছুইয়ে আবারও ইন্টারের জালে বল জড়ান ডি ইয়ং। গোলের থামার আগেই তা আবার শোধ করে দেন গোডিন। সেটপি থেকে ব্রজোভিচের ক্রস থেকে দারুন হেডে ইন্টারকে সমতায় ফেরান এই উরুগুইয়ান ডিফেন্ডার। বিরতির আগে আর কোনো গোল না হলে ২-২ গোলে সমতায় থেকে সন্তুষ্ট থাকতে হয় দু‘দলকে।
বিরতি থেকে ফিরে খেলার গতি কিছুটা কমে যায় দু‘দলেরই। প্রথমার্ধের তুলনায় কিছুটা ম্যাড়মেড়েই বলা যায় দ্বিতীয়ার্ধের শুরুটা। তবে চলতে থাকে আক্রমণ পল্টা আক্রমণ। ৭৪ মিনিটের সময় একইরকম জায়গা থেকে আবারও বানেগার ফ্রি কিক। তবে তা ক্লিয়ার করতে ব্যার্থ হয় ইন্টার ডিফেন্ডাররা। দারুণ এক ওভার হেড কিকে ইন্টারের স্বপ্ন চুর্ণ করেন ১ম হাফে পেনাল্টি কনসিড করা দিয়াগো কার্লোস। তবে শটটা গোলে ঢুকতে সাহায্য করেন লুকাকু। বল ক্লিয়ার করেতে যেয়ে যে নিজেদের জালেই জড়িয়ে দিয়েছেন তিনি।
এই গোল খাওয়ার পরেও অবশ্য সমতায় ফেরানোর সুযোগ পেয়েছিলো ইন্টার। তবে গোলকিপারকে একা পেয়েও লক্ষ্যভেদ করতে পারেনি লুকাকু। এরপরে আরেক আক্রমণ গোল লাইন থেকে ফিরিয়ে দেন সেভিয়ার ফ্রেঞ্চ ডিফেন্ডার কুন্ডে। শেষ পর্যন্ত আর এই গোল শোধ দিতে পারেনি ইন্টার।
এতেই রেকর্ড ষষ্ঠবারের মতো ইউরোপার ফাইনালের শেষ হাসি হাঁসলো সেভিয়া। দলের কিংবদন্তী প্লেয়ার এভার বানেগাকে দারুণ এক বিদায়ী ম্যাচ উপহার দিলো লেপেতেগুইর শিষ্যরা। দীর্ঘদিনের ক্লাব ছেড়ে ৩২ বছর বয়সী এই প্লে মেকার যে পাড়ি জমাচ্ছেন সৌদি আরবের ক্লাব আল-সাবাব এ।