বহুল প্রচলিত এ প্রবাদটি যেন টটেনহ্যামের দক্ষিণ কোরিয়ান তারাকা হিউয়েন মিন সন এর সাথে পরিপূরক! তার মতো ভাগ্যবান কয়জন আছে, যে কিনা নিজের পছন্দের খেলার সাথে সাথে দেশের হয়ে কাজ করতে পারছে!
দক্ষিণ কোরিয়ায় মিলিটারি ট্রেনিং তরুণদের জন্য বাধ্যতামূলক। বয়স ২৮ পেরোনার আগে প্রত্যেক শক্ত-সামর্থ্য পুরুষকে দুই বছরের সামরিক প্রশিক্ষণ নিতে হয়। তবে এশিয়ান গেমস চলাকালীন তার সামনে দুটি পথ খোলা ছিলো, ১. হয় স্বর্ণপদক জিতো এবং ফুটবল চালিয়ে যাও, ২. না হয় মিলিটারিতে যোগ দাও।
এ যাত্রায় পাশ করে ফেলেন সন! দক্ষিণ কোরিয়াকে স্বর্ণপদক জিতিয়ে সন হিউয়েন মিন বড় সময় ট্রেনিং থেকে ছাড় পেয়ে যান। তবে বাধ্যতামূলক তিন সপ্তাহের ট্রেনিং করতে হয়েছে তাকে। কোভিড-১৯ এ যখন পুরো বিশ্ব টালমাটাল। তখন দেশের হয়ে তিন সপ্তাহের ট্রেনিং করতে চলে যান সন। ফুটবলের মতো ট্রেনিং-এ গিয়েও তিনি দেখালেন ঝলক। তিন সপ্তাহের ট্রেনিং শেষে শ্যুটিংয়ে ১৫৭ জন ট্রেইনারের মধ্যে সেরা হয়েছেন এবং ভিন্ন ৭টি প্রশিক্ষণে অংশ নিয়ে সন পেয়েছেন দশে দশ।
শুধু জার্সি গায়ের দেশের জন্য মাঠে লড়ে যান না তিনি, মাঠের বাহিরেও তিনি দক্ষিণ কোরিয়ার হিরো। আসলেই কি তিনি সেরা নন? তাইতো বলা হয়, “A thing of beauty is a joy forever. —সুন্দর সবসময়ই আনন্দদায়ক।”