আক্ষরিক অর্থে কি আমরাই ফুটবল বিশ্বের ভাগ্যবান জেনারেশন? রোনালদিনহো,রোনালদো লিমা, জিনেদিন জিদান, অলিভার কানদের শেষটা দেখতে না দেখতেই প্রবেশ করেছিলাম মেসি রোনালদো নামক এক অতিমানবীয় জগতে।
বছরের পর বছর ধরে দুর্দান্ত প্রতিযোগিতা, হাজার হাজার অর্জন, সবকিছু ছাড়িয়ে যাওয়া ম্যাজিক আর মুগ্ধতা। রাতদিন কত আলোচনা সমালোচনা ঝগড়া আর তর্ক। এই তো আর অল্প কয়েকটা বছর। তারপর আর কোনদিন ফুটবল মাঠে পায়ের ছোয়া পড়বে না এই জুটির। এই দুই অতিমানবের পায়ে সৃষ্টি হবে না আর কোন জাদুকরী মূহুর্ত।হয়তো শুধু আর একটা বিশ্বকাপ, এটা নিশ্চিত হয়ে গেছে যে তাদের দুজনের মধ্যে অন্তত পক্ষে একজনের না ছোঁয়া পাওয়াতে আজীবনের জন্য আফসোস করতে হবে বিশ্বকাপটার।
লিও আর মাঠে নামবে না, বার্সাকে বারবার রক্ষা করবে না, ন্যূ ক্যাম্পে সৃষ্টি করবে না কোন মায়ার জাল, সেটা আমরা বার্সা ফ্যানরা সেটা কিভাবে সহ্য করবো? কিভাবে!
আমাদের এই জেনারেশনটা একদিন হাজার হাজার স্মৃতি নিয়ে বুড়ো হয়ে যাবে। ভালো লাগা আর খারাপ লাগা দুই ধরনের স্মৃতির ওজনে ভারী হয়ে থাকবে আমাদের বয়সের বোঝা। কোন এক ক্লান্ত সন্ধ্যার আলো আধারিতে বেলকনির বেতের চেহারে বসে আমরা একটা দীর্ঘশ্বাস ফেলে ভাববো মেসি রোনালদোময় সেই রাত গুলোর জাদুকরী মূহুর্তের কথা।
ভাববো তাদের নিয়ে ব্লগ, গ্রুপ কিংবা নিজের ফেসবুক ওয়ালে কতশত ট্রল, প্রসংশা নিয়ে লেখালেখির কথা গুলো। তখন হয়তো ভাববো জীবনটা আসলেই তখন খারাপ ছিল না, সেই রাতগুলো আসলেই আমাদের জন্য রোমাঞ্চকর ছিল, তার অন্যতম কারিগর ছিল একটা ফুটবল এবং মেসি রোনালদো। যাদেরকে আমরা একত্রে প্রায়ই বলে থাকি মেস্টিয়ানো।
তাহলে তো বলতেই পারি আমরাই পৃথিবীর সবচেয়ে ভাগ্যবান জেনারেশন! কেননা এই মেসি রোনালদোর মতো এতবছর ফুটবল বিশ্ব শাসন করা জুটি পৃথিবী আর একটাও দেখবে কি না এই নিয়ে রয়েছে বিস্তর সন্দেহ। ইচ্ছে তো করে এখনই টাইম মেশিনে করে চলে যাই আবার সেই ২০০৭-০৮ এর সময়ে। যেখান থেকেই শুরু হয়েছিল এই মেস্টিয়ানো যুগ, একটা অতিমানবীয় ভয়ংকর যুগ যেখানে ভুক্তভোগী এই জেনারেশনের ওয়ার্ল্ড ক্লাস অন্যসব প্লেয়াররা।