২০১৯ সালের জুলাইয়ে প্রি-সেশনে ইন্টারন্যাশনাল চ্যাম্পিয়ন কাপে আর্সেনালের সাথে খেলা চলাকালিন বাঁ পায়ের হাঁটতে ইঞ্জুরিতে পড়ে মার্কো এসেন্সিও। আর্সেনালের ডি বক্সের বিতর পিয়ের-এমেরিক আবামেয়াং এর সাথে বল দখলের লড়াইতে মূলত ইঞ্জুরিতে পড়ে। এই ফাউলের জন্য মাদ্রিদ পেনাল্টিও পেয়েছিল। ইঞ্জুরির দুই দিন পর মাদ্রিদ থেকে বলা হয় যে হাঁটুর ইঞ্জুরির জন্য মার্কোর ২০১৯-২০২০ সেশনে আর মাঠে নামার কোন সুযোগ নাই।
বর্তমানে সারাবিশ্বে চলমান করোনা ভাইরাসের জন্য চলা লকডাউনের জন্য অন্য অনেক কিছুর সাথে বন্ধ ছিলো মাঠের ফুটবল। দীর্ঘ বিরতির পর আগামী জুনের ৮ তারিখ থেকে শুরু হচ্ছে বন্ধ থাকা লা লীগার ২০১৯-২০২০ সেসনের বাকি ম্যাচ গুলো। এতেই ভাগ্য খুলেছে মার্কো এসেন্সিও।
আরো পড়ুন: অফিশিয়াল: লা লীগা শুরু হচ্ছে ৮ই জুন।
দীর্ঘ বিরতির পর গত ১১ মে রিয়াল মাদ্রিদ ট্রেনিং শুরু করে। ট্রেনিং সেশন এবং প্লেয়ারদের সাথে দেখা করতে আসেন ক্লাব প্রেসিডেন্ট ফ্লোরেন্তিনো পেরেজ। সে সময় ম্যানেজার জিদান এবং ক্যাপ্টেন রামোসের সাথে দলের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করে। সাথে মার্কোর বিষয়টিও আলোচনা হয়।
এদিকে গত সোমবার স্পেনের জনপ্রিয় স্পোর্টস পত্রিকা মার্কা জানিয়েছে, যে মাদ্রিদ মেডিকেল টিম থেকে সব ধরনের পরীক্ষায় সবুজ সংক্ষেত পেয়েছে মার্কো। এদিকে করোনা ভাইরাসের পর গতকালের দ্বিতীয় ট্রেনিং সেশনে যোগ দিয়েছে মার্কো এসেনসিও। দলের সাথে সম্পূর্ন সেশন ট্রেনিং করেছে। ২০১৯-২০২০ সেশনের বাকি ম্যাচ গুলোতে এসেন্সিওকে বেঞ্জেমার সাথে দ্বিতীয় স্টাইকার হিসেবে খেলাতে পারে জিদান। কারন লুকা জবিচ এবং মারিয়ানো ডিয়াজের ইঞ্জুরিতে থাকায়।
আরো পড়ুন: কিভাবে চলছে বুন্দেসলীগা ফুটবল!
২০১৬ সালে উয়েফা সুপার কাপে সেভিয়ার বিপক্ষে অভিষেক ম্যাচে ২১ মিনিটে গোল করার মাধ্যমে নিজর পরিচয় তুলে ধরে ফুটবল বিশ্বের কাছে। তারই ধারাবাহিকতায় লীগ, লীগ কাপ এবং উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগের অভিষেক ম্যাচেও গোল করেছিলো।
এসেন্সিও সম্পর্কে বলতে গিয়ে জিনেদিন জিদান বলে, লিও মেসির পর বা পায়ের বর্তমান ইয়াং স্টারদের মধ্যে সবার উপরে আছে মার্কো এসেন্সিও। কথাটা কতটা বাস্তব তা যারা মার্কোর খেলা দেখেছে তারাই বুঝেছে।
ফুটবলে ইঞ্জুরি এমন এক অস্র যা অনেক ট্যালেন্ট প্রতিভাকে ধ্বংস করে দেয় চিরোতরে। ফুটবল ভক্ত হিসেবে চাইবো সকল প্লেয়ার যেনো থাকে ইঞ্জুরি মুক্ত।