এই বছর মুসলিম ফুটবলারদের জন্য অনন্য একটি সুযোগ, COVID-19-এর কারণে ফুটবল এখন বন্ধ। আর এই বন্ধ সময়ে হচ্ছে মাহে রমজান। তাই অনিচ্ছা স্বত্তেও অন্যান্য সময়ের মতো ধর্মীয় কর্তব্য পালন করা থেকে বিরত থাকতে হচ্ছেনা তাদের।
এই রমজানের মাসে খেলোয়াড়দের আরও বেশী করে ধর্মীয় কর্তব্য পালন এবং অন্য মানুষদের সহায়তা করার সুযোগ করে দিয়েছে! পবিত্র রমজান মাসে সাধারন ভাবে অ্যাথলিটদের এবং ফুটবলারদের,পুরো এক মাস রোজা রেখে পারফরম্যান্সের ক্ষমতা কতটুকো এমন প্রশ্নটি প্রায়ই দেখা দেয়।
তবে এই রমজানে মুসলিম খেলোয়াড়দের জন্য কোভিড -১৯ মহামারীতে ভালো একটা সুযোগ পেল । বিশ্বব্যাপী সব মুসলমানদের রোজা রেখে ফুটবল খেলতে হবে না। এই রমজানে তাদের ধর্মীয় দায়িত্ব পালন এবং পরিবার ও প্রিয়জনদের সাথে দীর্ঘ সময় ব্যয় করার সুযোগ পেয়েছে। নতুন পরিস্থিতিটি মুসলিম খেলোয়াড়দের ভিন্ন ধরনের অভিজ্ঞতা।
এই রমজানে আলজেরিয়ান আন্তর্জাতিক খেলোয়াড় ইসলাম স্লিমানি ফিফা ডটকমকে বলেছেন,এ বছর মুসলিম খেলোয়াড়রা ভিন্ন রমজানের অভিজ্ঞতা অর্জন করছেন। “মুসলিম খেলোয়াড়দের জন্য এটি ভাল ব্যাপার। আগের রমজান মাসে আমি প্র্যাকটিস এবং খেলার সময় রোজা রাখতাম কারণ আমার জন্য, সকল মুসলমানের জন্য রমজান পবিত্র মাস। “
লিস্টার সিটি থেকে লোনে লিগ ওয়ানে ক্লাব মোনাকোর হয়ে খেলা স্লিমিনি আরও বলেন : “কিছু খেলোয়াড় রমজানে খেলার সময় রোজা রাখতে পারেননি। তবে এই বছর তাদের এই দ্বিধা নেই। “
লেবাননের প্রাক্তন আন্তর্জাতিক ও জার্মানি দলের সাবেক অধিনায়ক ইউসুফ মুহাম্মদ বলেছেন, খেলা বা প্রশিক্ষণের চাপ ছাড়াই এই বছর পবিত্র রমজান পালন করার অনুভূতির অভিজ্ঞতা লাভ করার এক দুর্দান্ত সুযোগ। তারা প্রশিক্ষণ ও ম্যাচ থেকে ক্লান্ত না হয়ে পবিত্র মাসে রোজা রাখতে পারবেন।”
প্রাক্তন ডিফেন্ডার, ‘ডোডো’ নামে খ্যাত, তিনি জার্মানির ফ্রেইবার্গের সাথে কাটানো তিন বছরের মূল চ্যালেঞ্জগুলি উপস্থাপন করেছিলেন “ইউরোপে আমার সময়, রোজা থাকা কঠিন ছিল কারণ রোজার সময়কাল বিশেষত দীর্ঘ ছিল। এ সময়ে প্রথমদিকে, খেলার চাপের মধ্যে দিয়ে আমার পক্ষে রোজা রাখা খুব কঠিন ছিল, কিন্তু পরবর্তী বছরগুলিতে বিষয়গুলি কিছুটা উন্নত হয়েছিল। “
আরো পড়ুন- আল খাইর চ্যালেঞ্জ