This post is also available in: English
মার্কো রিউস। জার্মানির দুঃখ? না ফুটবল এর?
আমি বলবো ফুটবলের। বিশ্ব শতাব্দির সেরা জার্মান ট্যালেন্ট এই কথা অনেক লিজেন্ড এর মুখ থেকেই শোনা গেছে। ১৪ বছরের ফুটবল ক্যারিয়ার এ মোট ৫৬ ইনজুরি কেড়ে নিয়েছে জীবনের অনেক মুহুর্ত। কিন্তু ফুটবল সবসময় প্রতিযোগিতা করার বাইরেও অনেক কিছু শেখায়।
আর তা হলো কিভাবে জীবনে হোঁচট থেকে ফিরে আসতে হয়। যতবার ইঞ্জুরি তাকে বাধ্য করেছে ফুটবল থেকে বিচ্ছিন্ন হতে ততবার বুড়ো আঙ্গুল দেখিয়ে মাঠে ফিরে এসেছেন। ক্যারিয়ার এর বেশির ভাগ সময় ছিলেন জন্মস্থান ডর্ট্মুন্ড এর ক্লাব এ।
বড় বড় ক্লাব থেকে মোটা অঙ্কের টাকার অফার এসেছে একাধিকবার, কিন্তু তাতে রাজি হননি। বরুশিয়া ডর্ট্মুন্ড এর ইতিহাসে তাকে বলা হয়ে তাকে সবচেয়ে একনিষ্ঠ প্লেয়ার দের একজন। ব্যাক্তি হিসেবেও রেখেছেন ভদ্রতার পরিচয়। ক্যারিয়ার এ ৫০০ এর অধিক ম্যাচ খেললেও লাল কার্ড এর দেখা মিলেছে মাত্র একবার।
আজকের খেলা কখন, কোন চ্যানেলে দেখতে ক্লিক করুন
মুলত ডান পায়ের হলেও বাম পায়েও সমান পারদর্শী রিউস গতি, ড্রিবলিং, ক্রসিং, ফিনিশিং এ নিখুত, সাথে একজন দক্ষ সেট পিস টেকার। মিডফিল্ড থেকে ফরোয়ার্ড এর যেকোনো পজিশনে সমান পারদর্শী একজনকে ফুটবল বিশ্ব মনে রাখবে নিশ্চিত ভাবে। ব্যালন বা ট্রফি দিয়ে নয়, মার্কো রিউস ফুটবল ইতিহাসে থাকবে একজন বীর যোদ্ধা হিসেবে, যে জানে কিভাবে মাঠে ফিরে আসতে হয়, আর কিভাবে মন জয় করতে হয়।