অবশেষে প্রেসিডেন্ট পদ থেকে পদত্যাগ করেছেন বার্সেলোনার ইতিহাসের বিতর্কিত প্রেসিডেন্ট হোসে মারিয়া বার্তোমেউ। মঙ্গলবার স্থানীয় সময় সন্ধ্যায় বোর্ড মিটিংয়ের পর বার্তোমেউ এবং বাকি পরিচালকরাও এক সাথে পদত্যাগ করেন।
বার্তোমেউর অধীনে গত ১২ বছরের প্রথম ট্রফিশূন্য মৌসুম পার করেছে বার্সেলোনা। কোচ বদল, দল বদল এবং ক্লাবের অভ্যন্তরীণ নানা সমস্যার সাথে চলতি মৌসুমে ক্লাবের ইতিহাসের সেরা প্লেয়ার লিওনেল মেসির ক্লাব ছাড়া নিয়ে নানা বিতর্কিত হয় যার সম্পূর্ণ দায় পড়েছিল বার্তোমেউয়ের উপর।
করোনাকালীন এই লকডাউনের মাঝেও বার্তোমেউর বিপক্ষে প্রায় ২০ হাজার অনাস্থা ভোট সংগ্রহ করা হয়েছে। অনাস্থা ভোট এড়াতে বার্তোমেউ-এর দরকার ছিল মাত্র এক তৃতীয়াংশ ভোট। কিন্তু তার আগেই বার্তোমেউর অবসান ঘটে।
মূলত বার্তোমেউর খুটি নাড়িয়ে দিয়েছে অধিনায়ক লিওনেল মেসির করা কড়া সমালোচনা। এরপরই ক্লাবের সমর্থক থেকে শুরু করে সম্ভাব্য প্রেসিডেন্ট প্রার্থীরাও বার্তোমেউকে সরানোর জোরালো ভূমিকা পালন করে। কয়েক দিন আগে দীর্ঘ নীরবতা ভেঙে বার্তোমেউর তীব্র সমালোচনা করেন বার্সেলোনা এবং স্পেনের অভিজ্ঞ ফুটবলার জেরার্দ পিকে। পিকে যোগ করেন, আমি প্রেসিডেন্ট হলে মেসির নামেই নতুন স্টেডিয়ামের নাম করন করতাম।
গত সোমবার এক সাংবাদিক সম্মেলনে বার্তোমেউ ক্লাবকে সামনে এগিয়ে যাওয়ার প্রত্যয় জানিয়েছিলেন। ২৪ ঘন্টার আগেই সেই বার্তোমেউ সম্পূর্ণ বোর্ডসহ পদত্যাগ করেন ৫৭ বছর বয়সী প্রেসিডেন্ট।
২০১৪ সালে প্রেসিডেন্ট হিসেবে বার্তোমেউর যাত্রাটা ছিলো সাফল্যমণ্ডিত কিন্তু শেষে এসে হয়ে গেলেন বার্সেলোনার ইতিহাসের খারাপ এক প্রেসিডেন্ট। আর একই সাথে শেষ হলো “বার্তোমেউ আউট”