সকল জল্পনা কল্পনার অবসান ঘটিয়ে আরো একবছর বার্সেলোনায় থাকছেন লিওনেল মেসি। সবকিছু চুড়ান্ত হওয়ার পর জনপ্রিয় ফুটবল ম্যাগাজিন গোল ডট কমকে বিশেষ স্বাক্ষাৎকার দিয়েছেন ৩৩ বছর বয়সী আর্জেন্টাইন সুপারস্টার। নিচে সম্পর্ন স্বাক্ষাৎকারটি তুলে ধরা হলো।
🎙 আমি খুশি ছিলাম না এবং আমি চলে যেতে চেয়েছিলাম। আমাকে কোনোভাবেই এই অনুমতি দেওয়া হয়নি এবং কোনো আইনি বিবাদে না জড়ানোর জন্য আমি ক্লাবে থাকব। বার্তোমেউর নেতৃত্বে ক্লাবটির ব্যবস্থাপনা একটি দুর্যোগ।
🎙সত্য এটাই যে এই ক্লাবে কোনো স্পোর্টিং প্রজেক্ট নেই,যখন যা কিছু ঘটছিলো তারা তাতে রসদ দিচ্ছিলো মাত্র, আমি কখনোই আমার জীবনের একমাত্র ক্লাবের বিপক্ষে কোর্ট যুদ্ধে যেতে চাইনি, তাই আমি এখানেই থেকে যাচ্ছি।
🎙“আমি ভেবেছিলাম এবং নিশ্চিত ছিলাম যে আমি চলে যেতে পারব, প্রেসিডেন্ট সর্বদা বলেছিলো মৌসুম শেষে আমি সিদ্ধান্ত নিতে পারি যে আমি থাকতে চাই কিনা, এখন তারা এই সত্যটিকে আঁকড়ে ধরেছিল যে আমি ১- ই জুনের আগে এটি বলিনি, ১০ জুন আমরা এই ভয়াবহ করোনভাইরাসটির মাঝামাঝি লা লিগার জন্য প্রতিযোগিতা করছিলাম এবং এই রোগটি পুরো মৌসুমে পরিবর্তিত হয়েছিল।”
🎙 আমি ক্লাবে অবস্থান করতে যাচ্ছি কারণ বার্তোমেউ আমাকে বলেছিলেন যে ক্লাব ছাড়ার একমাত্র উপায় ৭০০ মিলিয়ন ক্লজ (মেসির রিলিজ ক্লজ) এবং এটি অসম্ভব।
🎙বার্সা আমাকে সব দিয়েছে এবং আমিও আমার সর্বোচ্চ ক্লাবকে দেয়ার চেষ্টা করেছি, আমি জানি যে বার্সাকে আদালতে তোলা আমার মনকে কল্পনায়ও সাড়া দিতে পারতোনা।
🎙তবে আমি আরও সামনের দিকে তাকিয়েছিলাম এবং আমি সর্বোচ্চ স্তরে প্রতিযোগিতা করতে চাই, শিরোপা জিততে, চ্যাম্পিয়ন্স লিগে প্রতিযোগিতা করতে চাই। আপনি এতে জিততে বা হারাতে পারেন, কারণ এটি খুব কঠিন, তবে আপনাকে এরজন্য প্রতিযোগিতা করতে হবে।
🎙কমপক্ষে আমাদের এটির জন্য প্রতিযোগিতা করা উচিত ছিলো কিন্তু রোমা, লিভারপুল, লিসবনের মতো এভাবে ভেঙে পরা উচিত না, একারণগুলোই আমার সিদ্ধান্ত নিয়ে আমাকে ভাবতে পরিচালিত করছিলো।
🎙যখন আমি আমার স্ত্রী এবং বাচ্চাদের কাছে ক্লাব ছাড়ার ইচ্ছাটি জানিয়েছিলাম, তখন পরিস্থিতি খারাপ হয়েছিলো,আমার পুরো পরিবার কাঁদতে শুরু করে, আমার বাচ্চারা বার্সেলোনা ছেড়ে যেতে চায় না, তারা স্কুলও পরিবর্তন করতে চায়নি।
🎙মাতেও এখনও খুব ছোট এবং সে এসব বিষয় বোঝেনা যে অন্যকোথাও চলে যাওয়া এবং বাকি বছর সেখানে কাটানো কেমন হতে পারে। থিয়াগো বয়সে বড়, সে টিভিতে কিছু শুনেছিলো এবং কিছু খুঁজে পেয়ে জিজ্ঞাসা করেছিলো আমাকে এই ব্যাপারে। আমি চাইনি সে এসব ব্যাপারে কিছু জানুক এবং বাধ্য করতে চাইনি যে নতুন স্কুলে থাকতে হবে, বা নতুন বন্ধু তৈরি করা উচিত।
🎙থিয়াগো আমার কাছে কেঁদেছিলো এবং না যাওয়ার (বার্সেলোনা ছেড়ে) জন্য অনুরোধ করছিলো। আমি প্রতিউত্তরে বলেছিলাম যে এখানে থাকা খুব কঠিন, আমি বুঝতে পারছিলাম সব বিষয় তবুও এটি আমার সাথে ঘটেছিলো , সিদ্ধান্ত নেওয়া খুব কঠিন ছিলো আমার জন্য।
🎙“আমি বার্সেলোনাকে ভালবাসি এবং আমি কোথাও এর চেয়ে ভাল জায়গা খুঁজে পেতাম না। তবুও, সিদ্ধান্ত নেওয়ার অধিকার আমার আছে। আমি নতুন লক্ষ্য এবং নতুন চ্যালেঞ্জগুলো সন্ধান করতে যাচ্ছিলাম। কিন্তু পরবর্তীতে যেটা আমাকে বেশি ভাবালো যে বার্সেলোনায় আমার সব কিছু আছে। “
🎙“আমার ছেলে, আমার পরিবার, তারা সবাই এখানে বেড়ে উঠেছে এবং এখানেই থেকে এসেছে সবসময়, আমার চলে যেতে চাওয়াটাও কোনও ভুল ছিল না। আমার জন্য দরকার ছিল, ক্লাবের জন্য দরকার ছিল এবং এটি সবার পক্ষেই ভাল ছিল।”
🎙“আমার স্ত্রী, তার মনের সমস্ত যন্ত্রণা নিয়েও আমাকে সমর্থন করেছিলো এবং সবসময় আমার পাশে ছিলো।”