আগামী বাফুফে নির্বাচনকে সামনে রেখে সরগরম বাফুফে ভবন। বাংলাদেশে ফুটবলের গত ১ যুগের বেহাল দশার নগ্ন দিক যখন সামনে তখনই এই নির্বাচনকে ঘিরে চলছে এক অদ্ভুত তামাশার খেলা। কটু কথা বললেই আপনি খেতে পারেন মামলা!
বাফুফের সভাপতি হিসেবে দীর্ঘ ১ যুগ পার করা কাজী সালাউদ্দিন আবারো নির্বাচনে জয়ী হতে চাইছেন। গত নির্বাচনের আগে ২০২২ বিশ্বকাপ খেলবেন বলে নিজেদের নির্বাচনী ইশতেহার দিয়েছিলেন। সেটা থেকে এবার ১৮০ ডিগ্রী উল্টে গিয়ে সভাপতি সাহেব ইশতেহার দিচ্ছেন বাংলাদেশ জাতীয় দলকে ১৫০ র্যাংকিং এ নিয়ে আসার।
বাফুফের সভাপতির বিরুদ্ধে নানা অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ নতুন নয়। বেশ কয়েক বছর ধরেই ফুটবলকে ফলো করা মানুষজন এই নিয়ে আন্দোলন সংগ্রাম করে আসছে। তবে এবারের বাফুফে নির্বাচনে তাতে নতুন করে রং লেগেছে সোশ্যাল মিডিয়ার ব্যাপক আন্দোলনের কল্যাণে। বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়ায় ফুটবল সমর্থকরা একতাবদ্ধ হয়ে সালাউদ্দিন ও তার প্যানেলের বিরুদ্ধে আন্দোলন করে আসছে।
বাংলাদেশ ফুটবলের গত ১২ বছরের গ্রাফ দেখলে একেবারে স্পষ্ট যে বাংলাদেশ ফুটবল প্রতিনিয়তই নিম্নমূখী হচ্ছে। সালাউদ্দিন যখন বাফুফের সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব নেন তখন বাংলাদেশ ফুটবলের র্যাংকিং ছিলো ১১২ সেখান বর্তমানে ডাবল হান্ড্রেড করতে আর বেশি দুরে নেই বাংলাদেশ ফুটবল টিমের।
এছাড়াও ঘরোয়া লীগ সহ মাঠগুলোর বেহাল দশা, জাতীয় স্টেডিয়ামে সবজির চাষ সহ এমন বহু বিষয় আছে যা অত্যন্ত নোংরা ভাবে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের দৈন দশা তুলে ধরে।
কিন্তু বাফুফে সভাপতি কাজী সালাউদ্দিন এসব মানতে নারাজ! তার মতে তার বিপক্ষ দলই এসব করাচ্ছে তার সম্মানহানী করতে। তার মতে যত যাই হোক গত ১২ বছরের সভাপতি থাকাকালীন সময়ে সে ফুটবলের ব্যাপক উন্নয়ন ঘটিয়েছেন। তাই বাকি যে উন্নয়ন আছে সেগুলো করার জন্য তাকে আবারো নির্বাচিত করার জন্য সবার কাছে ভোট চাইছেন তিনি।
এসব ব্যাতীত বাফুফের অফিশিয়াল পেইজ, বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়া গ্রুপ, ইউটিউবে তার বিরুদ্ধে তারা আন্দোলন, কটু বাক্য এবং গালাগালি করছে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নিবেন বলে ইতোমধ্যেই বাফুফের অফিশিয়াল পেইজ কর্তৃক লিগ্যাল নোটিশ জারী করেছে।
নির্বাচনকে সামনে রেখে গত কয়েক বছরের জমানো পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানও গত ২১ তারিখে করা হয়। এটা নির্বাচন সামনে রেখে ক্লাব কর্মকর্তাদের এক রকম উপটৌকন দেওয়ার মতোই দাঁড়ায়।
কাজী সালাউদ্দিনের ভাষ্যমতে যারা তার বিরুদ্ধে এসব আন্দোলন সংগ্রাম করছে তারা আদতে কখনো ফুটবল খেলাই দেখেনি। তারা রাস্তায় ঘুরে ফিরে…..
পৃথিবীর ইতিহাসে যা এক বিরল দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে 🙂